ক্লাস ১১ থেকেই বড় ভাইদের কাছ থেকে একটু আধটু সাজেশন নিয়ে এডমিশনের প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করি, তারপর শুরু হলো ঘাটাঘাটি কোন কোচিং ভালো, আর শুরু থেকেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঢাকার বাইরে অর্থাৎ আমার নিজের এলাকা রংপুরেই কোচিং করবো এবং এখানে ফোকাসকেই সব চাইতে আস্থাভাজন মনে হলো।তারপর শুরু এই এডমিশন নামের যুদ্ধের পূর্ণান্গ প্রস্তুতি। আর এক্ষেত্রে সব চাইতে বেশি প্রশংসার দাবিদার ফোকাসের শিট এবং সকল স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস, আমার মনে হয়েছে এগুলা পড়লে আর কোন বাইরের বই আলাদা করে না পড়লেও সেরকম বেগ পেতে হবে না। টিচার প্যানেল এর ভালো দিক হচ্ছে উনারা অনেক আন্তরিকভাবে আমাকে আমার সব সমস্যার সমাধান দিয়েছেন এবং ধরে ধরে রিটেন ডেভেলপ করার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়া আঞ্চলিক ব্রাঞ্চে থাকলেও অনলাইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস করা যেতো এবং নিজের ভিত্তি এবং প্রস্তুতিকে আরও গোছানোর সুযোগ হয়েছিল, পাশাপাশি অনলাইন এক্সামগুলোয় ফোকাসের সব ব্রাঞ্চের সেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেকে যাচাই করার সুযোগ হয় যা আমাকে নিজের অবস্থান এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে এক সম্যক ধারণা দিয়েছিল। এছাড়া পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষকদের অনলাইনের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমার রিটেন ভীতিও অনেক দূর হয় যার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাংক্ষিত সফলতা অর্জন করা।আর যদি বলি ফোকাসের সব চাইতে কোন বিষয়টি ভালো লেগেছে সেক্ষেত্রে আমি বলবো উনাদের আন্তরিকতা, অনেক কিছুই আমি একটা কোচিং এর কাছে আশা করিনি কিন্তু ফোকাসের কাছ থেকে তা পেয়েছি, ফোকাস সেই চিরাচরিত ব্যাবসায়িক স্বার্থের ঊর্ধে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে এক অকৃত্তিম ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করে।
রিদওয়ানুল করিম রাইয়ান
অর্থনীতি বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
(১ম ঢাবি গ,১ম রাবি ক,১০ম ঢাবি ক,২য় বিইউপি FSSS)